বাংলাদেশের বোলিং তোপের মুখে একশর আগেই ৫ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছে আফগানরা। শারজায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তান ৪৯.৪ ওভারে দুই বল বাকি থাকতে অলআউট হয়েছে ২৩৫ রানে। বাংলাদেশের সামনে এখন ২৩৬ রানের লক্ষ্য।

বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান।  

আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন আফগান শিবিরে। দুর্দান্ত এক আউটসুইঙ্গারে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে (৭ বলে ৫) উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান তিনি।

এরপর কিছুটা সময় উইকেট ধরে রাখার চেষ্টা করলেও অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন রহমত শাহ (১৩ বলে ২)।মোস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে তুলে নেন আরও এক উইকেট। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন সেদিকউল্লাহ অতলকে (৩০ বলে ২১)। 

এদিকে দশম ওভারেই তিন বল পরে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে (৩ বলে ০) উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বন্দী করেন মোস্তাফিজ। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপর গুলবাদিন নাইব ২২ করে পরিণত হন তাসকিনের শিকারে, করে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা।

এরপর হাসমতউল্লাহ শহিদি আর মোহাম্মদ নবি ষষ্ঠ উইকেটে ১২২ বলে ১০৪ রানের লড়াকু জুটি গড়ে তোলেন। ব্যক্তিগত ৫২ রানে শহিদিকে বোল্ড করে এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন মোস্তাফিজ। এরপর রশিদ খানকে (১০) সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল।অন্যদিকে সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা নবিকে আটকান তাসকিন। তার শর্ট বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন নবি। ৭৯ বলে ৮৪ রানের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা হাঁকান আফগান অলরাউন্ডার।

পরের বলেই তাসকিন বোল্ড করেন গাজানফরকে। তার এক বল পরে পাঁচ উইকেট পূর্ণ হতে পারতো তাসকিনের। কিন্তু ফজলহক ফারুকির বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যায় আফগানিস্তান।

শেষদিকে নানগেয়ালিয়া খারোতে ২৮ বলে হার না মানা ২৭ রান করে আফগানিস্তানকে ২৩৫ পর্যন্ত নিয়ে যান।